বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে কালিঘাট স্লুইজ গেটের জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ময়ুর নদীর অববাহিকার শাখাগুলো সচল করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ডুমুরিয়ার রংপুর, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর, লতা ও ফুলতলা এলাকা থেকে অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজে অংশ নেয়।
খালে কচুরিপানা, অবৈধ নেট-পাটা ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কারণে স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটছিল। এ অবস্থায় খালগুলো পরিদর্শন করেন ‘শৈলমারী ও কালিঘাট স্লুইজ গেট এবং তৎসংলগ্ন নদী-খালের পানি নিষ্কাশন কমিটি’র আহ্বায়ক ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী, সদস্য সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আতিকুর রহমানসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, পানিবন্দী লাখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন বিকল্প পথ হিসেবে ময়ুর নদী ব্যবহার করছে। গত বছরও বন্যার সময় এ পথ দিয়েই পানি নিষ্কাশন করা হয়েছিল। শৈলমারী নদী পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ বছর ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে পলি অপসারণের কাজ শুরু করেছে প্রায় এক মাস আগে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাব-মার্সিবল পাম্প চালু রয়েছে ২ জুন থেকে। তবুও অতিবৃষ্টির কারণে এবারও ডুমুরিয়া ও ফুলতলার নিম্নাঞ্চল ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। প্রায় দুই মাস ধরে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।
কমিটির সদস্য অধ্যাপক জিএম আমান উল্লাহ জানান, কালিঘাট স্লুইজ গেট থেকে লতা ব্রিজ পর্যন্ত খালের কচুরিপানা অপসারণ শুরু হয়েছে। স্বেচ্ছাশ্রমে সহস্রাধিক মানুষ দিনভর কাজ করায় পানির প্রবাহ অনেকটা বেড়েছে। খালের অবৈধ নেট-পাটা অপসারণও আগামী দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য সচিব ও খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মো. আতিকুর রহমান বলেন, সোমবার দিনভর কচুরিপানা সরানোর পর বিকেলে কালিঘাট স্লুইজ গেটের জলকপাট আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। গেট দিয়ে এখন ব্যাপক পানি বের হচ্ছে এবং এভাবে টানা ২৪ ঘণ্টা পানি নিষ্কাশন চলবে। পাশাপাশি আগামী দু’দিন খালের অবৈধ নেট-পাটা উচ্ছেদ অভিযানও চলমান থাকবে।
খুলনা গেজেট/এসএস